রবিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

Swastika Mukherjee shares her childhood Memories this Mahalaya Morning

বিনোদন | ‘আজ বুঝলাম, কেন রেডিও শুনতে শুনতে আকাশের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদত মা …’ মহালয়ার দিন চোখে জল স্বস্তিকার

Reporter: আজকাল ওয়েব ডেস্ক | লেখক: রাহুল মজুমদার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪ : ৪৪Rahul Majumder

মা-বাবা দু’জনকেই হারিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দেবীপক্ষের শুরুতে মহালয়ার সকালে বার বার নিজের মায়ের কথা মনে পড়ছে অভিনেত্রীর। হাতড়াচ্ছেন বাবার সঙ্গে লেগে থাকা মনকেমনের স্মৃতিও।  তাঁর ছোটবেলার মহালয়ার কাকভোরের রঙিন সব সুখজাগানিয়া স্মৃতির সঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে মা-বাবা, পুরনো রেডিও, শঙ্খধ্বনি আর অনেককিছু... সেসব কথাই এদিন সাম্যমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিলেন স্বস্তিকা। 


অভিনেত্রী লিখলেন - “রাজ্যের কাজ সেরে গতকাল বাড়ি ফিরে মাসি কে বললাম - রেডিওটা কোথায় গো মাসি ? ভোর হলেই তো লাগবে। বাকি বছর তো মনেই থাকেনা সে আছে কোথায়। 
মাসি উত্তরে বলল - এইখানেই থাকত, (যেন আমাদের পরিবারের আর এক সদস্য, আসবাবপত্র থাকতে থাকতে সদস্যই হয়ে যায় বটে), দাদার খুব ব্যা থা বাড়লে চালিয়ে শুনত, বলত গান শুনলে নাকি ব্যাতথা কম হয়, কিন্তু দাদা মরে যেতে আর দেখিনি। আমার কেন মনে পড়ল না জানিনা, মাসি রান্নার গ্যা স শেষ হয়ে গেলে বলতে ভুলে যায়, এটা ঠিক মনে রেখেছে। আমি হিসেব করে দেখলাম, বাবা চলে গেছে সাড়ে পাঁচ বছর আগে, মাসি কী ভেবে বলল কে জানে, মহালয়া তো মিস হয়নি একবার ও। শুরু হলো খোঁজা, বাবা গো সে কত কাজ, ঘর তোলপাড় করে সেই তো আবার সব গোছাতে হবে। মা তো নেই যে সারা বাড়ি উপরে ফেলে - মা গুছিয়ে দিয়ো মার্কা হুকুম ঝেড়ে গিয়ে শুয়ে পড়তে পারব। অবস্য মা থাকলে কোনদিন কোনও কিছুই খুঁজতে হয়নি। নাকছাপি থেকে আলপিন, বাড়ির দলিল থেকে ডেবিট কার্ড সবই মা এর আঁচল এ বাঁধা। মা চলে যেতে সেই যে খোঁজা শুরু হলো, আজও খুঁজে চলেছি। 
যাই হোক, রেডিও পাওয়া গেল। 
যাবতীয় তার, প্লাগ ইত্যাদি সেও পাওয়া গেল। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আকাশবাণী কলকাতা স্টেশন রেডি করে রাখলাম। 
মা এর কথা সর্বক্ষণ মনে পড়ে, কিন্তু মহালয়া এলেই যেন গোটা ছোটবেলা, বড়বেলা টা চোখের সামনে এসে দাঁড়ায়। 
এক সপ্তাহ ধরে বাড়ি ঘর সব পরিষ্কার করা, বিছানায় নতুন চাদর, জানালায় নতুন পর্দা, নতুন কুশান কভার, আনাচে কানাচে থেকে ঝুল ঝাড়া, সাজো সাজো রব - মা দুর্গা এলো বলে। 

 

 

বাবা কে খুব একটা মহালয়া শুনতে দেখিনি, কিন্তু মা স্কুল এর হেডমাস্টার এর মতন, ঠিক ৩.৪৫ এ ঘুম থেকে তুলে দিতো, আমি, বোন, আমার মেয়ে সবার সঙ্গেই একই নিয়ম। 
বাইরে ঘর এ গিয়ে, কেউ সোফায়, কেউ চেয়ার এ, কেউ মেজেতে গা এলিয়ে শুনতাম। 
মা ঘর এ ধুপ দেখিয়ে বারান্দায় বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদতো। পরে জিজ্ঞেস করাতে বলত - ও কিছু না। 
মা চলে যেতে সেই বছর ভয়ে রেডিও চালাইনি। উঠে পড়েছিলাম, ওটা অভ্যাস, কিন্তু চালাইনি, এমনিই একটা অজানা, অচেনা মন খারাপ হত ছোটবেলা থেকেই, যারা চলে গেছে, দিদা, দাদু, ঠাকুরদা, আম্মা, তাদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হত আর এখন তো চেনা দুঃখ, চেনা সুখ, ভয় এ শুনিনি, মনে হত কেঁদে মরে যাব, নিজেকে কেন এত কষ্ট দেওয়া! 
আবার সেই যে শুনলাম না, সেটাও সহ্যক হলোনা, ভাবলাম মা থাকতে কোনোদিন যার অনথ্যাু হয়নি, সে না থাকতে তার বয়ে নিয়ে আসা প্রথাকে অবমাননা করব কেন? এই যে দ্বন্দ্বের দোলাচলে পরে থাকে মানুষ, এর থেকে মুক্তি নেই। 
মনে জোর এনে পরের বছর থেকে শুরু হল ভোর ৩.৪৫ এ উঠে রেডিও অন করা। 
আজও উঠলাম, অবশ্য আজ আর তেমন ঘুমইনি। 
মহালয়ার সূচনায় শাঁখটা বাজলেই কেমন গায়ে কাঁটা দেয় - যা দেবী চণ্ডী মধুকৈতভ বিধ্বংসী… 
ঘরের আলো নিভিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসলাম। ভোরের একটা ভেজা সোঁদা গন্ধ হয়, আমাদের বাড়ির গেট এর বাইরে কামিনী গাছটায় ফুল হয়েছে, তারাও গন্ধ ছড়াচ্ছে, আকাশে তখনও তারা জ্বলছে টিমটিম করে। 
হাত জোর করে প্রণাম করলাম, মা দুর্গা কেও, নিজের মা কেও। বললাম আর কিছু হোক না হোক, আমার চাওয়া পাওয়ার হিসেব পরে হবে, আমার সন্তানগুলোর মঙ্গল করো মা। ওরা যেন ভালো থাকে। ওদের কৃপা কর। ওরা সুখে থাকলেই আমার সুখ। 
মানি, ফুলকি, সাবিত্রী রা যেন থাকে দুধে ভাতে। 
এত বছর ধরে ঠাহর করতে পারিনি, আজ বুঝলাম, মা কেন রেডিও শুনতে শুনতে আকাশের দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদতো। 
ও কিছু না…মা জননীরা অমন কেঁদেই থাকে। 
শুভ হোক, আলো হোক। 
শুভ মহালয়া” 

(পোস্টের বানান অপরিবর্তিত রাখা হল)

 

 

অভিনেত্রীর এই হৃদয়মথিত আবেগ জড়ানো পোস্ট মন ছুঁয়েছে নেটপাড়ার। অনেকে কমেন্টে নিজেদের মহালয়া স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, “মা-বাবার সঙ্গে মহালয়ার ভোর স্মৃতি অমূল্য, তোমার পোস্ট মনে করালো আমার ছোটবেলার দিনগুলো।”

এভাবেই মহালয়ার ভোরে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ শুধু নিজের জন্য নয়, নেটপাড়ার ফ্যানদের হৃদয়েও এক সঙ্গে ছুঁয়ে গেছে—মা-বাবার ভালবাসা, শৈশবের আনন্দ আর দেবীপক্ষের ঐতিহ্য।


নানান খবর

এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি

কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের

স্ত্রীর প্রসবের সময়ে এ কী কাণ্ড? হাসপাতালেই মামাকে পিটিয়ে মারল যুবক, হাড়হিম ঘটনা এই শহরে

ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি

৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের

ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার

গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের

পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা

‘‌কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’‌, অকপট হরমন

ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া

পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত

ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির 

হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?

এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল

ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের

যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা

নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ

২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ

সপ্তাহান্তে ফের যানজটের আশঙ্কা, বন্ধ থাকছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুলিশের

৬ কিমি বেগে হাঁটতে হবে, তার নীচে হলেই গুনতে হবে জরিমানা, অদ্ভূত নিয়ম চালু করল ইউরোপের এই দেশ

দুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে তিনটি পৃথিবী, সামনে এল অবাক করা আবিষ্কার

শিশুদের জন্য কাজ করে শিশুদেরই পণবন্দি! রোহিতের বিপুল টাকা আটকে রেখেছিল সরকার? মুম্বই-কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য

দূষণের গ্রাসে দিল্লি, সামনে এল নতুন ভাইরাসের কীর্তি

সোশ্যাল মিডিয়া