আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ বিরল প্রতিভা। বৈভব সূর্যবংশী। তাঁকে আগলে রাখতে হবে। কারণ টি–টোয়েন্টি ও টেস্টের পর এবার একদিনের ক্রিকেট থেকেও রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির অবসরের জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় এক দিনের সিরিজ শেষে অবসর নিতে পারেন দুই তারকা ক্রিকেটার। তাঁদের বিকল্প হিসাবে কি বৈভব সূর্যবংশীর কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড? নইলে কেন ১৪ বছরের বৈভবের জন্য বিশেষ অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বোর্ড।

প্রসঙ্গত, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে ভারত ‘এ’ দলের সিরিজ। তার আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’–এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বৈভবকে। সেখানে বিশেষ অনুশীলন শুরু করেছে সে। ‘মাই খেল’–এর এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে প্রথমে রাজস্থান রয়্যালসের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেছে বৈভব। তার পরে ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’–এ গিয়েছে সে। বেঙ্গালুরুর অ্যাকাডেমিতে ১০ আগস্ট থেকে অনুশীলন করছে বৈভব। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১৪ বছরের এই ক্রিকেটারকে।

আরও পড়ুন:‌ ২০২৭ বিশ্বকাপে দেখা যাবে রোহিত ও বিরাটকে?‌ জেনে নিন ইংল্যান্ড সফরের আগে কী বলে গিয়েছিলেন গম্ভীর...

বৈভবের ছোটবেলার কোচ মণীশ ওঝা জানিয়েছেন, এখন থেকেই বৈভবকে তৈরি করে রাখতে চাইছে বিসিসিআই। তিনি বলেন, ‘‌বিসিসিআই সামনের দিকে তাকাচ্ছে। সিনিয়র ক্রিকেটাররা ধীরে ধীরে অবসর নিচ্ছে। ফলে একটা ফাঁক তৈরি হচ্ছে। সেই ফাঁক ভরাট করার জন্য তরুণদের তৈরি রাখা হচ্ছে। সেই কারণেই বৈভবকে অনুশীলন করানো হচ্ছে। প্রয়োজন পড়লে যাতে বৈভব তৈরি থাকে, সেই কাজ করছে বোর্ড।’‌ 

এটা ঘটনা, সাদা বলের ক্রিকেটে নজর কাড়লেও লাল বলের ক্রিকেটে এখনও ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি বৈভব। সেই দিকে তাকে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন মণীশ। তিনি বলেন, ‘‌প্রথম বল থেকেই বড় বড় শট খেলতে পারে বৈভব। টি–টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেটে সেটা দেখা গিয়েছে। আইপিএল, অনূর্ধ্ব–১৯, বিজয় হজারেতে আমরা ওর ব্যাটিং দেখেছি। কিন্তু লম্বা ফরম্যাটেও সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। যাতে ১০টা ইনিংস খেললে তার মধ্যে ৭–৮টা ইনিংসে ও ভাল খেলতে পারে।’‌

আরও পড়ুন:‌ শচীন-কার্স্টেনের এই গল্প কেউই জানেন না, ২০১১ বিশ্বকাপের অজানা গল্প শুনিয়ে হরমনপ্রীতদের উৎসাহ দিলেন যুবি

প্রসঙ্গত, গত আইপিএলে প্রথম বার সুযোগ পেয়েই নজর কেড়েছে বৈভব। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে শতরান করেছিল বৈভব। আইপিএলে এটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম শতরান। সেই ছন্দ ইংল্যান্ড সফরে ভারত ‘এ’ দলের হয়েও দেখিয়েছে সে। ৭১ গড় ও ১৭৪.০২ স্ট্রাইক রেটে ৩৫৫ রান করেছে সে। ওই সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে বৈভবের ব্যাট থেকেই। সেই কারণেই বৈভবের উপর এবার নজর পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। তাঁকে এখন থেকেই তৈরি করে রাখতে চাইছে বিসিসিআই। এটা ঘটনা, ২০২৫ সালের আইপিএলের আগে মেগা নিলামে ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় বৈভবকে কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। বাকিটা ইতিহাস।