আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিরিজ আগেই হেরে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। আহমেদাবাদের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ভারতেরই দাপট। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ভারত জিতে নিল ৩-০-এ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। 

টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। তাদের এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে। ইংল্যান্ডের বোলারদের রীতিমতো শাসন করে শুভমান গিলরা ৩৫৬ রানের পাহাড় তৈরি করেন। 

গিল শতরান হাঁকান। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ারও হাফ সেঞ্চুরি করেন। ভারতের ৩৫৬ রান তাড়া করে ইংল্যান্ড যে জিততে পারবে না, তা জানাই ছিল সবার। কত দ্রুত শেষ হবে খেলা, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ২১৪ রানে। ১৪২ রানে তৃতীয় ওয়ানডে জিতে নিল ভারত। 

কোনও ইংরেজ ব্যাটারই ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে সফল হলেন না। ভারতের রানের চাপে পিষ্ট হল ইংল্যান্ড। স্বপ্নভঙ্গের মাঠে ভারতের ব্যাটিং দৌরাত্ম্য। 

ওয়ানডে সিরিজ আগেই জেতা হয়ে গিয়েছিল রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়ার। আহমেদাবাদের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচে ভারত ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে। 

আহমেদাবাদের এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছিল ভারতের। সেই মাঠে বুধবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন শুভমান গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে নিলেন। রানে ফিরলেন বিরাট কোহলিও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন রোহিত শর্মাও। অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নামার আগে কিন্তু তিন তারকা ব্যাটারই রান পেলেন। এদিন টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। 

কটকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। এদিন তিনি ব্যর্থ হন। হিটম্যান মাত্র ১ রান করে ফেরেন। ইনিংসের হাল ধরেন শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি। ১২১ রান জোড়েন দুই ব্যাটার। কোহলি দারুণ ছন্দে ছিলেন। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পরে আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে ঠকে গেলেন। রশিদের বলে ৫২ রানে ধরা পড়েন ফিল সল্টের হাতে। 

তার পরে গিল ও শ্রেয়স আইয়ার ইনিংস গড়ার কাজ করেন। ১০৪ রান জোড়েন তাঁরা। এর মধ্যেই গিল সেঞ্চুরি করেন। সেই রশিদের বলেই ফেরেন শুভমান গিল। ১০২ বলে ১১২ রান করেন তিনি। ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। ঘরোয়া টুর্নামেন্টে রান পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। সেই আইয়ার মাঠে নামার পরে কখন যে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন, তা বুঝতেই পারেননি অনেকে। শেষ মেশ ৬৪ বলে ৭৮ রান করে ফেরেন আইয়ার। হার্দিক পাণ্ডিয়া রশিদকে দু'বার গ্যালারিতে ফেললেও শেষ হাসি হাসেন ইংল্যান্ড স্পিনারই। লোকেশ রাহুল প্রয়োজনীয় ৪০ রান করে যান ২৯ বলে। 

ভারতের রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনাররা ৬০ রান করেন। ৮০ রানের মধ্যে বেন ডাকেট ও ফিল সল্ট ফিরে যান। টম ব্যানটন ও জো রুট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। নিয়ম করে উইকেট পড়ল ইংল্যান্ডের। শেষের দিকে অ্যাটকিনসন ছাড়া কোনও ইংরেজ ব্যাটারই নিজেদের প্রয়োগ করতে পারলেন না। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হল  রানে। ভারত ১৪২ রানে ম্যাচ জিতল।