সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৩ : ৪৮Riya Patra
মিল্টন সেন,হুগলি: চরম দারিদ্রতা। ভাগচাষ করে সংসার চালানোই দায় হয়ে উঠেছিল। ছেলের পড়াশোনা চালানোর মত আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। খেলার বুট কিন দেওয়াতো অনেক দূরের কথা ছিল পন্ডিত পরিবারের কাছে। তবে সব বাধা কাটিয়ে, ছেলে জয় ছিনিয়ে এনেছেন। দুঃখ ঘুচেছে বাবা-মায়ের। স্মৃতি রোমন্থনে বলছেন, তাঁদের ছেলে বরাবর ভালই ফুটবল খেলত। এখন সেই ছেলে সন্তোষ ট্রফি জিতেছেন। আনন্দে আত্নহারা পন্ডিত দম্পতি।
আবারও কেরলকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলার ফুটবল দল। ট্রফি জেতার পর সেই দল বাংলার মাটিতে পা রাখতেই মিলেছে বিভিন্ন মহলের সম্বর্ধনা। জয়ী এই বাংলা দলের একজন ফুটবলার হুগলির নালিকুলের বন্দিপুর গ্রামের বছর ২৮-এর সুপ্রিয় পন্ডিত।
গ্রামের সকলের কাছে সুপ্রিয় বাবাই নামেই পরিচিত। এখন হুগলির গৌরব বাংলার এই তরুণ ফুটবলার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলা দলের ফুটবলারদের জন্য চাকরির ঘোষনা করেছেন।
শুরু থেকে সুপ্রিয়র এই চলার পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। দারিদ্রতা তো ছিলই, সঙ্গে ছিল অনেক বাধা। তা সত্ত্বেও লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন। খেলা শুরু পাড়ার মাঠ থেকে। সেখান থেকে বৈদ্যবাটি কৃষ্টি চক্র ক্লাব। তারপর কলকাতার রেনবো, ভবানীপুর ক্লাব এবং পিয়ারলেস দলে খেলেছেন। বর্তমানে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল দলের ফুটবলার বাবাই। ছোটবেলায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দলের খেলা দেখতে ভাললাগত। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। যখনই সময় পেত, তখনই মাঠে গিয়ে ফুটবল নিয়ে অনুশীলন চালাত।
তবে তখন এই খেলা মোটেও ভালোভাবে নিতক না পরিবার। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে ইতি টানতে হয়েছিল। বাবা কাশীনাথ ও মা কৃষ্ণা পণ্ডিত ছেলেকে ফুটবল খেলতে দেখলেই বকাবকি করতেন একসময়ে। কারণ, কাশিনাথ ছিলেন একজন ভাগচাষী। অন্যের জমিতে চাষ করে যা উপার্জন হত, তা দিয়ে কোনওরকমে চলত সংসার। ছেলে ফুটবল খেলে বড় নাম করবে, সেটা ছিল তাঁদের কাছে স্বপ্নের মতো।
অর্থের অভাবে ছেলের জন্য সামান্য বুট কিনে দিতে পারেননি বাবা। যদিও ছোট থেকে সুপ্রিয় ছিল খুব জেদি। বাবা মায়ের বকাবকি সত্ত্বেও লুকিয়ে হলেও, খেলা ঠিক চালিয়ে গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় খেলে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। প্রথমদিকে মা ছেলের খেলাধুলা মেনে নিতে না পারলেও পরবর্তীতে ছেলেকে উৎসাহ দিয়েছেন। ছেলে খেলতে গিয়ে কোথাও চোট আঘাত পেলে আর বকাবকি করতেন না, উল্টে শুশ্রূষা করতেন। এখন ছেলের খেলা মানেই বিরাট ব্যাপার। কখনওই তা দেখতে মিস করেন না বাবা মা। ছেলের খেলা আছে জানলেই কাজকর্ম সেরে বসে পড়েন টিভির সামনে।
তাঁদের সেই ছেলে লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে গিয়েছেন। ক্রমাগত লড়াই করে, চড়েছেন সুনামের শিখরে। কোচ সুবিমল সিনহার হাত ধরে প্রথমে মানকুন্ডু ও বর্তমানে বৈদ্যবাটি কৃষ্টিচক্রের মাঠে প্র্যাকটিস। সোমবার সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ছোট থেকেই কষ্ট করে বাবা মা তাঁকে মানুষ করেছেন। যখন যা চেয়েছে, সাধ্য মতো সেই চাহিদা পূরণ করেছেন। এবারে তাঁদের গ্রুপের কাছে সন্তোষ ট্রফি খুব কঠিন ছিল। সেখানে কাশ্মীর, রাজস্থান, তেলেঙ্গানার মতো কঠিন দল ছিলো। সেমিফাইনালেও লড়াই ছিল কঠিন। প্রতিপক্ষ যতই শক্ত হোক না কেন তাঁরাও ছাড়ার পাত্র ছিল না। দলের সবাই ১০০ শতাংশ উজাড় করে, লড়াই চালিয়েছে। তবে তাঁদের দলের ক্যাপ্টেন সবসময় সকলকে সাহস যুগিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলতেন যে বাংলার প্রতিটা মানুষের ভরসা তাঁদের উপরে। তাই তাঁদের যে ভাবেই হোক এই লড়াই লড়ে যেতে হবে। শুধু লড়া নয় জিততেও হবে। খেলার প্রথমে একটু ছন্নছাড়া মনে হচ্ছিল, তারপর একটার পর একটা গোল, মনের জোর বাড়ায়। কিন্তু নিজে গোল করতে পারেননি, এটা তাঁর কাছে একটা আক্ষেপ।
বাংলা দলের প্রতিটা ছেলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি চাকরির ঘোষণা করেছেন। এর জন্য তার কাছে দলের সকলেই কৃতজ্ঞ। একথাও জানিয়েছেন তিনি। সুপ্রিয়র দু’ চোখে অনেক স্বপ্ন এখনও। এবারে লক্ষ্য ভারতীয় দলে খেলা। এদিকে ছেলের সাফল্যে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি মা। অশ্রু ভেজা চোখে এদিন বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলেকে মানুষ করেছেন। ফুটবল খেলার প্রতি ঝোঁক দেখে রাগ হয়েছে, বকেছেন, মেরেছেন তবু ছেলে খেলা ছাড়েনি। ওর বাবারও ইচ্ছা ছিল না। ওর বাবা বারবার বলত, খেলাধুলা করে কিছু হবে না। তবু তিনি ঈশ্বরের প্রতি ভরসা রেখেছিলেন, জানতেন একদিন না একদিন ছেলে ঠিক মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এখন তিনি চান ছেলে অনেক বড় হোক। চোখে জল আটকাতে পারেননি সুপ্রিয়র বাবা কাশীনাথ পন্ডিতও। এদিন তিনি বলেন, তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সংসার চালাতে পারতেন না। ছেলের জন্য একটা বুট কেনার টাকা ছিল না। ছিল না বই কেনান সামর্থ্যও। অন্যের জমি চাষ করতেন তিনি। অনেক বকাবকি ও করেছেন। এদিন তিনি বুঝেছেন ছেলে এখন অনেক বড় হয়েছে।
ছবি পার্থ রাহা।
নানান খবর
এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের
স্ত্রীর প্রসবের সময়ে এ কী কাণ্ড? হাসপাতালেই মামাকে পিটিয়ে মারল যুবক, হাড়হিম ঘটনা এই শহরে
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?
৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের
গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের
পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা
রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক
বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?
সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?
পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত
হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?
যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা
নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ
২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ
‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?
সলমনের 'ভয়ে' কেন পিছু হটেছিলেন প্রভাস? এবার 'মঞ্জুলিকা' হবেন অনন্যা পাণ্ডে?
সপ্তাহান্তে ফের যানজটের আশঙ্কা, বন্ধ থাকছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুলিশের
৬ কিমি বেগে হাঁটতে হবে, তার নীচে হলেই গুনতে হবে জরিমানা, অদ্ভূত নিয়ম চালু করল ইউরোপের এই দেশ
দুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে তিনটি পৃথিবী, সামনে এল অবাক করা আবিষ্কার
শিশুদের জন্য কাজ করে শিশুদেরই পণবন্দি! রোহিতের বিপুল টাকা আটকে রেখেছিল সরকার? মুম্বই-কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য
দূষণের গ্রাসে দিল্লি, সামনে এল নতুন ভাইরাসের কীর্তি