সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
অভিজিৎ দাস | ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৪ : ২৬Abhijit Das
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রাপ্তবয়স্করা নাচছেন এবং পার্টি করছেন। এমন সময় একজন মহিলা এবং তাঁর দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাচ্চাদের দেখাশোনা করছেন, এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই কাজের জন্য ওই মহিলার বেতনের পরিমাণ ইন্টারনেটকে অবাক করে দিয়েছে। চিনে নিন নিউ ইয়র্ক সিটির ‘ওয়েডিং ন্যানি’ স্যান্ড্রা ওয়েইরকে। তিনি বিয়ে এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে প্রতিদিন এক হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ হাজার টাকার কিছু বেশি) আয় করেন।
সান্ড্রা গত ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাচ্চাদের দেখাশোনা করছেন। কিন্তু ২০২৪ সালে একটি সাধারণ কাজ তাঁর জীবনকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে চারটি বাচ্চা দেখাশোনার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে সারা রাত ধরে অতিথিরা জিজ্ঞাসা করতে থাকেন যে তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে শিশু যত্নের ব্যবস্থা করেন কি না। সেখান থেকেই জন্ম ‘ওয়েডিং ন্যানি এনওয়াইসি’র।
এখন, স্যান্ড্রা এবং তাঁর দল তাদের ব্র্যান্ডের লোগোযুক্ত কালো টি-শার্ট পরে অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে যায়। ছোট অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য তারা প্রস্তুত। বাবা-মায়েরা যাতে উপভোগ করেন। খেলাধুলা থেকে শুরু করে ঘুমানোর রুটিন পর্যন্ত তাদের নখদর্পণে। তারা সবকিছুই পরিচালনা করে যাতে বড়রা আরাম করতে পারেন এবং পার্টি করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাসাইমারা যাওয়ার পথেই সব শেষ! কেনিয়ার জঙ্গলে ভেঙে পড়ল পর্যটকদের বিমান, সকল যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
১২ ঘণ্টার জন্য স্যান্ড্রার ফি এক হাজার ডলার। চাইলে কেউ অতিরিক্ত সময়ে পরিষেবা নিতেই পারেন। এছাড়াও বড় দলের সাহায্য চাইলেও নিতে পারেন। স্যান্ড্রা সাধারণ ১২টি বাচ্চা দেখাশোনার জন্য চার জন ন্যানির দল পরিচালনা করেন। যে গ্রুপে একাধিক সিটারের প্রয়োজন হয়, সেখানে প্রতি ঘণ্টায় ৬৫ ডলার (প্রায় ৫৮০০ টাকা) খরচ হবে।
স্যান্ড্রা বলেন, “আমরা বিমার জন্য অর্থ প্রদান করি এবং আমাদের অনেক খরচ হয়। তাই আমাদের পরিষেবার খরচ আহামরি কিছুই নয়।” সান্ড্রা জানিয়েছেন, প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শিশুর নিরাপত্তা, অ্যালার্জি এবং এমনকি প্রতিটি সন্তানের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি বিস্তারিত ফোন কলের ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতে, ন্যানি রাখার ধারণাটি নতুন নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আয়া বলে আসছি। এর উৎপত্তি ঔপনিবেশিক যুগে। সেই সময় ধনী ভারতীয় এবং ব্রিটিশ পরিবারগুলিতে আয়াদের উপর শিশুদের দায়িত্ব অর্পণ করা হত। তারা প্রায়শই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন এবং তাঁদের নিজস্ব পরিবারের মতো শিশুদের যত্ন নিতেন।
কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। ছোট পরিবার, কর্মজীবী বাবা-মা এবং শহরের জীবন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, আধুনিক যুগের অভিভাবকত্বে আয়ারা একটি বড় অংশ হয়ে উঠেছে। বর্ধিত পরিবারের সদস্যরা যারা আগে সবসময় সাহায্যের জন্য পাশে থাকতেন, তাদের পরিবর্তে, প্রশিক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য আয়ারা এখন বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন।
অনেক শহুরে পরিবারের জন্য একজন আয়া নিয়োগ করা একটি অপরিহার্য বিষয়। বাবা-মায়েরা এমন একজনকে চান যিনি কেবল যত্নশীলই নন, বরং পেশাদার এবং নির্ভরযোগ্যও। কোভিড অতিমারির পরে, বাড়িতে শিশু যত্নের চাহিদা আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ, পরিবারগুলি বুঝতে পারছে যে বাড়িতে অতিরিক্ত সাহায্য পাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
মুম্বই, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মতো শহরগুলিতে বর্তমানে আরও বেশি সংখ্যক পরিবার আয়া নিয়োগ করছে। এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা প্রমাণ করে যে ভারতে পারিবারিক ধ্যানধারণা কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। ২০২৪ সালে ভারতের চাইল্ডকেয়ার মার্কেট ছিল প্রায় ৮৩,৬০০ কোটি টাকার। এখানেই শেষ নয়। বিশেষজ্ঞদের মত, ২০৩৩ সালের মধ্যে এই মার্কেট ১.২১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পার।
শিশু যত্নের ক্ষেত্রে, ভারতের সকলেই পেশাদার আয়াদের উপর নির্ভর করেন না। ছোট শহরগুলিতে বা সীমিত আয়ের পরিবারগুলিতে, অনেকেই এখনও আত্মীয়স্বজন বা স্থানীয় গৃহকর্মীর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পছন্দ করেন যাদের তাঁরা ইতিমধ্যেই চেনেন এবং বিশ্বাস করেন। এর প্রধান কারণ হল বাবা-মায়েরা প্রায়শই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হন এবং পেশাদার আয়া পরিষেবাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখনও কোনও শক্তিশালী নিয়ম বা ব্যবস্থা নেই।
নানান খবর
এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের
স্ত্রীর প্রসবের সময়ে এ কী কাণ্ড? হাসপাতালেই মামাকে পিটিয়ে মারল যুবক, হাড়হিম ঘটনা এই শহরে
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?
ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি
৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের
ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার
গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের
পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা
রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক
বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?
সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?
‘কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’, অকপট হরমন
ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া
ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির
হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?
এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল
ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের
যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা
নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ
২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ
‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?