সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
সৌরভ গোস্বামী | ২৩ আগস্ট ২০২৫ ১৬ : ৪৬Sourav Goswami
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন এ বছরের জুলাই মাসে ১৯৮৯ সালের পর থেকে সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে নতুন নীতি ঘোষণা করলেও, সেই নীতির আওতায় আসছেন না নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত বা নির্যাতিত সাধারণ মানুষদের পরিবার। এতে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়েছে উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে।
শ্রীনগরের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিলাল রমজান বলেন, “নীতির ঘোষণা হওয়ার পর বহু আত্মীয়-স্বজন আমাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু আমাকে জানাতে হয়েছে—আমাদের পরিবার এর আওতায় পড়ছে না, কারণ আমরা রাষ্ট্রের ভুক্তভোগী।” ১৯৯৬ সালের ৩১ মে খন্যার এলাকার খুচরো দোকানদার মোহাম্মদ রমজান ভাটকে স্থানীয় পুলিশ তুলে নিয়ে যায়, তাঁকে মিথ্যা ভাবে জঙ্গি বলে প্রচার করে এবং পরে হেফাজতে হত্যা করে—এমন অভিযোগ রয়েছে তাঁর স্ত্রী জামিলা বেগমের করা মামলায়। সরকারি তদন্তেও প্রমাণিত হয় যে ভাটের কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগসূত্র ছিল না। পরদিন তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।
প্রায় তিন দশক পরে, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট তদন্তে গাফিলতির জন্য পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এবং তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়। তবুও রমজান পরিবারের মতো শত শত পরিবার এই নতুন নীতির বাইরে থেকে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে উপত্যকায় প্রায় ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৪ হাজারেরও বেশি ছিলেন সাধারণ নাগরিক। মানবাধিকার সংগঠনগুলির হিসাব আরও বড়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটি নথিভুক্ত করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অসংখ্য বেসামরিক হত্যার ঘটনা। ২০২১ সালে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়াররা ভারতকে এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় বিক্রি করেও আবার 'সার্ভিস চার্জ' কেন? রেস্তরাঁগুলোকে দিল্লি হাইকোর্টের ধমক!
কিন্তু সদ্য ঘোষিত নীতি শুধু জঙ্গিদের হাতে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ শেখ শওকত হুসেন বলেন, “রাষ্ট্রের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব হলো নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। শুধু এক শ্রেণির ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।” এর আগে ১৯৯৪ সালে সরকার SRO-43 নীতি চালু করেছিল, যেখানে নিহত নাগরিকদের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হতো—কারা হত্যা করেছে, সেই প্রশ্ন তেমন বিবেচনা করা হতো না। কিন্তু এবারকার নীতি সেই দৃষ্টান্ত থেকে সরে গেছে।
পুঞ্চ জেলার টোপা পীর গ্রামে ২০২৩ সালে সেনার হেফাজতে তিন গ্রামবাসীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। ২০২০ সালে রাজৌরির তিন যুবককে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করে জঙ্গি সাজানো হয়। এসব ক্ষেত্রে পরিবারকে চাকরি দেওয়া হলেও এখনকার নীতিতে সেসব ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২৭ বছরের ট্রাকচালক ওয়াসিম আহমদ মীর সেনার গুলিতে নিহত হন। তাঁর পরিবার ক্ষতিপূরণের জন্য চেষ্টা করলেও বারবার প্রশাসনিক অজুহাতে তাদের ফাইল ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওয়াসিমের ভাই ইরফান বলেন, “আমাদের বাদ দিয়ে সরকার আমাদের প্রতি অবিচার করছে। ভুল হলে তা স্বীকার করা উচিত, নইলে মানুষ বিশ্বাস হারাবে।” পিডিপি নেতা ওয়াহিদ পাড়া সতর্ক করেছেন, “রাষ্ট্রনায়কত্বের দাবি হলো সব ভুক্তভোগীকে স্বীকৃতি দেওয়া—তারা জঙ্গি হোক বা রাষ্ট্রের হাতে নিহত হোক। বেছে বেছে পুনর্বাসন করলে আস্থার সঙ্কট আরও বাড়বে।”
এক জ্যেষ্ঠ পিডিপি নেতা মন্তব্য করেন, নীতিটি আসলে কাশ্মীরে একপাক্ষিক স্বার্থগোষ্ঠী তৈরি করার প্রচেষ্টা মাত্র। অতীতে বখ্শি গুলাম মহম্মদের আমলে দেওয়া রুট পারমিট, ইখওয়ান বাহিনী গঠনের মতোই এটি ব্যর্থ হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সুপ্রিম কোর্ট কনস্টেবল খুরশীদ আহমদ চৌহানকে হেফাজতে নির্যাতনের মামলায় ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখ শাকিল আহমদ প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি চৌহান মারা যেতেন, তবে কি এই নীতি তাঁর পরিবারকে সাহায্য করত? ন্যায়বিচার কি কেবল প্রভাবশালী বা আদালতে লড়তে সক্ষম পরিবারদের জন্য সীমাবদ্ধ?”
বর্তমান নীতি ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ পরিবারকে চাকরি দিয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মী, আইনজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতারা একবাক্যে বলছেন—নীতি যদি সব ভুক্তভোগীকে অন্তর্ভুক্ত না করে, তবে এটি আস্থার পরিবর্তে বিভাজনই বাড়াবে। বিলাল রমজান শেষমেশ বলেন, “সরকার যদি নিরপেক্ষভাবে সব মামলা তদন্ত করে এবং সব পক্ষের প্রতি সুবিচার করে, তবেই মানুষ আস্থা পাবে। এখন একপাশের দরজা খোলা হয়েছে, অন্যপাশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
নানান খবর
এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?
ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি
৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের
ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার
গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের
পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা
রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক
বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?
সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?
‘কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’, অকপট হরমন
ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া
পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত
ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির
হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?
এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল
ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের
যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা
নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ
২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ
‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?