সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
SG | ১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫ : ৩০Sourav Goswami
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অফিস মানে শুধু কাজ নয়— মানসিক চাপ, অগণিত ডেডলাইন, টিম মিটিং, টার্গেট পূরণের চাপ, আর তার সাথে ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য। আধুনিক কর্মজীবনে ‘স্ট্রেস’ যেন একটি স্বাভাবিক শব্দ হয়ে উঠেছে। এই চাপ কমানোর জন্য কেউ সিগারেট খান, কেউ ভেপ টানেন, কেউ আবার কফির জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী ও নারী অধিকার কর্মী নাদিয়া বোকোডি বেছে নিয়েছেন সম্পূর্ণ আলাদা এক পথ— হস্তমৈথুন বিরতি।
বিষয়টি প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কানাডিয়ান সিটকম Workin' Moms–এর এক জনপ্রিয় পর্বে চরিত্র জেনি ম্যাথিউসকে দেখা গিয়েছিল অফিসের কাজের ফাঁকে হস্তমৈথুন করতে। দর্শকরা তখন সেটিকে নিছক কমেডি হিসেবে নিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল, এটা কেবল সিটকমের হাস্যরস, বাস্তবে যার কোনো মিল নেই। কিন্তু নাদিয়া বোকোডি দেখালেন, এটি নিছক কল্পনা নয়, বরং অনেকের বাস্তব অভিজ্ঞতা।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে নাদিয়া জানান, তাঁর সহকর্মীরা যখন কেউ সিগারেট টানছেন, কেউ ভেপের ধোঁয়ায় ডুবে আছেন বা কেউ কফি আনতে সারি দিয়েছেন, তিনি তখন অন্যরকম এক বিরতিতে যান। নাদিয়ার ভাষায়, তিনি তখন "রাবিং ইট আউট"-এ ব্যস্ত।
লাঞ্চ ব্রেকের সময় তিনি কখনো নিজের বাসায় ফিরে যান, যা অফিস থেকে খুব বেশি দূরে নয়। সেখানে গিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য নিজের ভাইব্রেটরের সাহায্য নেন। আবার কখনো অফিসের রেস্টরুমকেই ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, এতে তিনি সতেজ হয়ে ওঠেন, এবং পরবর্তী কাজের চাপ সামলানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
নাদিয়ার দাবি, হস্তমৈথুন কেবল ব্যক্তিগত আনন্দের বিষয় নয়, এর বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। হস্তমৈথুনের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্দিষ্ট হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। নাদিয়ার মতে, এটি অকারণে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার মতো সময় নষ্ট নয়, আবার ভাজা-পোড়া বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার মতো ক্ষতিকরও নয়। বরং এটি মন এবং শরীর উভয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর।
চমকে দেওয়ার মতো তথ্য শেয়ার করেন নাদিয়া। তাঁর মতে, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী ইতিমধ্যেই কর্মক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করেন। সংখ্যাটি অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্য। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, যৌনতা নিয়ে সমাজে এখনো এক ধরনের দ্বৈত মানসিকতা বিরাজ করছে। যেখানে গোপনে অনেকেই এই অভ্যাসে লিপ্ত, প্রকাশ্যে বিষয়টি এখনো ট্যাবু।
নাদিয়ার মতে, যৌনতা নিয়ে দ্বৈত মানদণ্ড আজও বিদ্যমান। পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা সামাজিকভাবে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে গ্রহণ করা হলেও, নারীরা যখন খোলাখুলি যৌনতা নিয়ে কথা বলেন বা প্রকাশ করেন, তখন তাঁদের ‘স্লাট-শেমড’ হতে হয়।
ইনস্টাগ্রামে নাদিয়া লিখেছিলেন—
“আমি প্রায় সবসময়ই সেক্স নিয়ে ভাবি। কিন্তু আমি এখনো এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে একজন নারী সেক্স নিয়ে খোলাখুলি বললে তাঁকে লজ্জা দেওয়া হয়। অথচ সেক্স আনন্দদায়ক, স্বাস্থ্যকর এবং সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এটি নারী বা পুরুষ— উভয়ের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য।”
তিনি আরও প্রশ্ন করেন, “নারীরা কতবার শুধুমাত্র খোলামেলা যৌনাচরণ প্রকাশ করার কারণে অপমানিত হয়েছেন? আর পুরুষেরা— আপনারা কি কখনো তা প্রত্যক্ষ করেছেন? হস্তক্ষেপ করেছেন?”
নাদিয়ার বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, কর্মক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করা অনৈতিক, এটি পেশাগত শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। আবার অন্যপক্ষের দাবি, এটি ব্যক্তিগত বিষয়, যতক্ষণ পর্যন্ত অন্য কাউকে বিব্রত না করছে, ততক্ষণ এটি সম্পূর্ণ বৈধ ও স্বাস্থ্যকর একটি কাজ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে মানসিক চাপ এবং ‘বার্নআউট’ একটি বাস্তব সমস্যা। অনেক কর্মী এই চাপ সামলাতে মদ্যপান, ধূমপান বা অতিরিক্ত ক্যাফেইনের মতো ক্ষতিকর অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে নাদিয়ার পথ স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবেই দেখা যেতে পারে।
নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে নাদিয়ার উদ্যোগকে অনেকেই সাহসী বলে মনে করেন। কারণ, তিনি এমন এক বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলছেন যা নিয়ে নারীদের চুপ থাকার শিক্ষা দেওয়া হয়। তাঁর বক্তব্য আসলে যৌন স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধিকারের দাবি।
এখানে প্রশ্ন ওঠে— কেন একজন নারীকে নিজের আনন্দ প্রকাশের জন্য সমাজে জবাবদিহি করতে হবে? কেন একজন নারী যৌনতা নিয়ে খোলামেলা বললেই তাঁকে ‘অশ্লীল’ বলা হয়? নাদিয়ার মতো কণ্ঠস্বর এই সামাজিক ভণ্ডামিকে চ্যালেঞ্জ করছে।
নাদিয়া বোকোডির বক্তব্য হয়তো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অনেকেই এটিকে অস্বস্তিকর বা অশোভন ভাবতে পারেন। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট— তিনি যৌনতা নিয়ে প্রচলিত ট্যাবু ভাঙার সাহস দেখিয়েছেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি হয়তো বিতর্ক সৃষ্টি করবে, কিন্তু আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে।
অফিসের কোলাহল, ডেডলাইন আর অবিরাম চাপের এই যুগে প্রশ্নটা দাঁড়ায়— আমরা কি এখনো যৌনতাকে আড়ালে রেখে যাব, নাকি এটিকে মানসিক স্বাস্থ্যের একটি স্বাভাবিক উপাদান হিসেবে গ্রহণ করব?
নানান খবর
এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী
নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের
স্ত্রীর প্রসবের সময়ে এ কী কাণ্ড? হাসপাতালেই মামাকে পিটিয়ে মারল যুবক, হাড়হিম ঘটনা এই শহরে
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?
ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি
৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের
ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার
পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা
রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক
বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?
সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?
‘কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’, অকপট হরমন
ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া
পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত
ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির
এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল
ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের
যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা
নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ
২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ
‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?
সলমনের 'ভয়ে' কেন পিছু হটেছিলেন প্রভাস? এবার 'মঞ্জুলিকা' হবেন অনন্যা পাণ্ডে?