সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

দেশ | দারিদ্র্য হ্রাস না, বরং বেড়েছে ক্ষুধা: সরকারি ও বিশ্বব্যাংকের দাবি নিয়ে প্রশ্ন

Sourav Goswami | ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৬ : ১২Sourav Goswami

আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত চার দশকে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে—এমন দাবিতে মুখর বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন দক্ষিণের দেশের সরকার। ভারত, এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ, ২০২২-২৩ সালে দাবি করেছে, তাদের মাত্র ৫ শতাংশ নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নিচে। কিন্তু ভারতের পুষ্টি গ্রহণ সংক্রান্ত সরকারি তথ্য বলছে, এই একই সময়ে ক্ষুধা এবং অপুষ্টি উভয়ই মারাত্মকভাবে বেড়েছে, যার প্রমাণ মিলেছে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের নিম্ন অবস্থান থেকেই।

তবে জনসাধারণের একটা বড় অংশ, এমনকি শিক্ষিতরাও বিশ্বাস করছে সরকারপন্থী দারিদ্র্য হ্রাসের পরিসংখ্যান। তারা বলছেন, "দারিদ্র্য কমলে ক্ষুধা বাড়বে কীভাবে?" কিন্তু প্রকৃত প্রশ্ন হওয়া উচিত—"ক্ষুধা যদি বেড়ে যায়, তাহলে দারিদ্র্য কীভাবে কমে?" কারণ, পুষ্টি গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য সরাসরি ও সহজে যাচাইযোগ্য, অথচ দারিদ্র্য সংক্রান্ত হিসাবপদ্ধতি জটিল এবং যুক্তিহীন বলে বিশ্লেষকরা দাবি করছেন।

দারিদ্র্য নির্ধারণে ব্যবহৃত পদ্ধতিতে মূল সমস্যা হলো, প্রথমদিকে দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হতো প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু খাদ্যগ্রহণের উপর ভিত্তি করে—যেমন ২২০০ ক্যালোরি গ্রামে ও ২১০০ ক্যালোরি শহরে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ভিত্তিকে বাদ দিয়ে কেবল পুরনো ব্যয় ধারা ধরে, মূল্যসুচক প্রয়োগ করে দারিদ্র্যসীমা আপডেট করা হয়। অর্থাৎ, পঞ্চাশ বছরের পুরনো ভোগবস্তুর ঝুঁড়িকেই ধরে নিয়ে সেটির বর্তমান দাম হিসাব করে দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়—যা একটি যুক্তিগত ভুল, যা "fallacy of equivocation" নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন: বেড়াতে গেলে ব্যাগ গোছানো নিয়ে নাজেহাল? এই কটা টিপস মানলেই হবে মুশকিল আসান

বিশ্বব্যাংক, ভারত সরকার ও অনেক অর্থনীতিবিদ এই ভুল পদ্ধতির ওপর নির্ভর করেই বছরের পর বছর ‘দারিদ্র্য হ্রাস’-এর গল্প বলে আসছেন। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এইভাবে নির্ধারিত দারিদ্র্যসীমার নিচে মানুষের বেঁচে থাকাটাই অসম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২-২৩ সালে ভারতের গ্রামীণ ও শহরের জন্য মাথাপিছু দৈনিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারিত হয়েছিল যথাক্রমে ₹৫৯ ও ₹৬৯, যা দিয়ে বাজার থেকে একদিনে মাত্র ৩ থেকে ৩.৫ লিটার জলের বোতল কেনা সম্ভব।

আশ্চর্যের বিষয়, এই অতি-নিম্ন দারিদ্র্যসীমায় যখন কোনও মানুষ ‘দারিদ্র্যসীমার নিচে’ পাওয়া যায় না, তখন সেটিকে ব্যাখ্যা করা হয় ‘শূন্য দারিদ্র্য’ হিসেবে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, এত কম দামে কেউ বেঁচে থাকার মতো খাবার বা জীবনযাপন করতে পারে না, তাই সেই সীমার নিচে কেউ ‘বেঁচে নেই’—এই অনুপস্থিতিকে ‘সাফল্য’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

১৯৭৩-৭৪ সালে NSSO-এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রামে ৫৬.৪ শতাংশ এবং শহরে ৪৯.২ শতাংশ মানুষ পুষ্টির মান পূরণ করতে পারেননি। ২০১১-১২ সালে এটি বেড়ে যথাক্রমে ৬৭ ও ৬২ শতাংশে পৌঁছায়। ‘লিকড ডেটা’ বিশ্লেষণে ২০১৭-১৮ সালে গ্রামীণ অঞ্চলে এই অনুপাতে ৮০ শতাংশ পৌঁছেছে বলে অনুমান। এরপরে সরকার ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে।

এছাড়া, যারা বলেন অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে মানুষ ‘উন্নত খাবার’ খাচ্ছেন বলে খাদ্যশস্য গ্রহণ কমছে, তাদের ভুল ভাঙাচ্ছে তথ্য। কারণ পুষ্টি গ্রহণের হিসাব শুধু সরাসরি শস্য খাওয়া নয়, পরোক্ষভাবে প্রাণিজ পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মাধ্যমে ক্যালোরি হিসাব করে। বিশ্বজুড়ে দেখা যায়, আয় বাড়লে এই মোট ক্যালোরি গ্রহণ বাড়ে। কিন্তু ভারতে গত তিন দশকে দেখা যাচ্ছে খাদ্য ব্যয়ের উপর মাথাপিছু ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এমনকি ২০১১-১২ থেকে সমস্ত খাতেই ব্যয় কমেছে।

পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মতোই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসনকে যখন বাজার থেকে আলাদা করে সরকারি সুবিধা হিসেবে তুলে ধরে, তখন দারিদ্র্য দূর হয়েছিল। কিন্তু ভারতে বাজারমুখী সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষের হাতে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার টাকা কমেছে। এই বাস্তবতা চেপে রেখে ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ’-এর যে কৃত্রিম গল্প বলা হচ্ছে, তা অবিলম্বে ভেঙে ফেলা প্রয়োজন—না হলে বাস্তব সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।


নানান খবর

এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি

হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও

কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরির দাবিতে কমিশনকে ১৩ দফা চিঠি মহম্মদ সেলিমের

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?

ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি

৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর ক্যাম্প তৃণমূলের, বিএলও-কে এক মিনিটও একা না ছাড়া যাবে না, ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ অভিষেকের

ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার

গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের

পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি, দুধিয়ার হিউম পাইপ সেতুর নিচে ফুলে উঠছে বালাসন খোলা নদী, বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা

রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক

বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?

সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?

‘‌কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’‌, অকপট হরমন

ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া

পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত

ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির 

হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?

এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল

ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের

যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা

নিউরো সার্জারিতে নতুন দিশা, ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিতে লাগছে না কাটাছেঁড়া, বিনা অস্ত্রোপচারেই সারছে মস্তিষ্কের জটিল রোগ

২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজছেন? রাজ্যের সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইট নিষ্ক্রিয়, তাহলে পাবেন কোথায়? রইল হদিশ

‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?

সোশ্যাল মিডিয়া