সোমবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সম্পূর্ণ খবর
পল্লবী ঘোষ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০ : ৩৮Pallabi Ghosh
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ দুর্গাপুজোর বোধন। বছর পেরিয়ে উমা এসেছেন শ্বশুরবাড়িতে নিজের ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে। বারোয়ারি পুজোগুলোর সঙ্গে উৎসবের আনন্দে মেতেছে জেলার ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক পুজোগুলো।
প্রতিবছরই মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার পাশলা গ্রামের রায় এবং রায়চৌধুরী পরিবারের প্রাচীন দুর্গাপুজো নজর কাড়ে জেলাবাসীর। এখানে একই মণ্ডপে তিনটি দুর্গা প্রতিমার পুজো করা হয়। যা 'মা বুড়ি' নামে খ্যাত। আর এই দুর্গাপুজো দেখতে বোধনের দিন থেকেই এখানে উপচে পড়ে দর্শনার্থীর ভিড়।
পরিবারের সদস্য কুনাল রায় চৌধুরী বলেন, 'রবিবার সকালে স্থানীয় পলাশ পুকুরে পুজোর ঘটে ভরার মধ্যে দিয়ে আমাদের পুজোর সূচনা হয়েছে। আজ থেকেই আমাদের বাড়িতে দুর্গাপুজোর শুরু হয়ে গেল। আজ ষষ্ঠী পুজোর সময় দেবীর উদ্দেশ্যে ছাগ বলিদান হবে। তিনটি প্রতিমাকে ইতিমধ্যে নিজেদের বেদীতে বসানো হয়েছে।'
রায় পরিবারের ইতিহাস অনুযায়ী শশীকান্ত রায় এই পুজোর প্রচলন করলেও পরবর্তীকালে ওই গ্রামেরই কৃষ্ণচন্দ্র এবং গিরি রায়চৌধুরী (অনেকে মনে করেন এই দু'জন শশীকান্তের কাকার ছেলে) নামে দুই ব্যক্তি শশীকান্তের পুজোর পাশাপাশি নিজেদের মতো করে দু'টি আলাদা দুর্গাপুজো শুরু করেন। এরও পরবর্তীকালে একই পুজো মণ্ডপে তিনটি আলাদা আলাদা মূর্তি তৈরি করে পুজো করা হয়। বর্তমানে 'মা বুড়ি' নামে খ্যাত মূল পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন রায়চৌধুরী পরিবার। পাশাপাশি শশীকান্তের শুরু করা পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তাঁর বংশধর প্রশান্ত রায়। আর মণ্ডপের বাম পাশে অবস্থিত প্রতিমার পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন অখিল রায়চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সোনার দামে বিরাট চমক! মহাষষ্ঠীতে কলকাতায় হলুদ ধাতুর দর বাড়ল না কমল? জেনে নিন এখনই
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে মুর্শিদাবাদের দহপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন রায় পরিবারের সদস্য শশীকান্ত রায়। মা কালীর সাধক শশীকান্ত একবার কামাখ্যায় সাধনা করতে যান। ওই পরিবারের সদস্যদের মতে, সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় তন্ত্রসাধিকা কুন্ডলা মায়ের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই কুণ্ডলা মা এবং শশীকান্তের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। তারপর তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একসঙ্গে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন।
শোনা যায়, শশীকান্ত যখন কামাখ্যা থেকে দহপাড়ায় নিজের গ্রামে ফিরে আসছিলেন সেই সময় গঙ্গার পাড়ে তিনি একটি পাথরের দুর্গা মূর্তি কুড়িয়ে পান। এর কিছুদিনের মধ্যেই মা দুর্গা, শশীকান্তকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, যাত্রাপথের তৃতীয় দিন তিনি যেখানে পৌঁছবেন সেখানেই যেন মা দুর্গাকে স্থাপন করেন। দেবীর আদেশ অনুযায়ী দুর্গা মূর্তি কোলে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন শশীকান্ত এবং তাঁর স্ত্রী কুন্ডলা মা। যাত্রা শুরুর তৃতীয় দিন পশলা গ্রামে গম্ভীরা নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পাথরের দুর্গামূর্তি এতটাই ভারী হয়ে উঠেছিল যে তা কোলে বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তখন তাঁরা সেই দুর্গামূর্তি সেখানেই নামিয়ে রাখেন এবং তখন থেকে সেখানে শুরু হয় মা দুর্গার পুজো।
রায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শশীকান্ত রায়ের এই পুজোর কথা যখন নবাব আলীবর্দী খান জানতে পারেন, তখন তিনি শশীকান্তকে ১৬০টি গ্রাম উপহার দেন এবং গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কর বাবদ যে টাকা আদায় করা হবে তা দিয়ে তিনি পুজো সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এইভাবে ধীরে ধীরে শশীকান্ত ওই অঞ্চলের জমিদার হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে তিনি বিশাল একটি দুর্গা মন্দির স্থাপন করে সেখানে জাঁকজমক সহকারে দুর্গা পুজো শুরু করেন।
যদিও বর্তমানে তাঁর শুরু করা পুজোর পাশাপাশি তাঁরই কাকার দুই ছেলের দু'টি আলাদা দুর্গা প্রতিমা ওই একই মণ্ডপে পুজো করে থাকেন। তবে দুর্গা প্রতিমার পুজোর দায়িত্ব আলাদা ব্যক্তিদের হাতে থাকলেও দর্শনার্থীদের কাছে তিন প্রতিমার এই দুর্গাপুজো অন্যতম আকর্ষণ।
শশীকান্ত রায়ের পরিবারের এক সদস্য জানান, 'প্রাচীন রীতিনীতি মেনে আজও এই তিনটি দুর্গা প্রতিমার পুজো হয়ে থাকে এখানে। এমনকি জাঁকজমকতারও কোনও খামতি রাখি না আমরা।' তিনি আরও বলেন, 'নিয়ম মেনে ষষ্ঠীর দিন ভোরবেলা তিনটি পরিবার নিকটবর্তী দিঘিতে কলসিতে জল ভরতে যায়। প্রথমে 'মা বুড়ি'র জন্য জল নেওয়া হলে বাকি দু'টি প্রতিমার জন্য জল নেওয়া হয়। এমনকি সন্ধি পুজোর সময় হাজারখানেক পরিবার হাড়িতে করে 'মা বুড়ি'র কাছে ভোগ নিবেদন করেন। পুজো শেষে পরিবারের মহিলারা সেই প্রসাদ খেয়ে তাঁদের উপবাস ভাঙেন।'
রায় পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো রীতি মেনে আজও এখানে পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে পুজো করেন পুরোহিত। দেবীর উদ্দেশ্যে বলি প্রথা এখানে এখনও চালু রয়েছে। তাছাড়া এই পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে পাশলা গ্রাম জুড়ে। দশমীর দিন কাঁধে করে বেহারারা তিনটি প্রতিমাকে নিরঞ্জনের জন্য ডিহি দিঘির ঘাটে নিয়ে যান। দিঘিতে প্রথমে 'মা বুড়ি'র প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। তারপর বাকি দু'টি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় ডিহি দিঘির জলে।
নানান খবর
এবার রুপো বন্ধক রেখেও মিলবে ঋণ, জেনে নিন খুঁটিনাটি
হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় ‘সবথেকে মিষ্টি ভ্যাম্পায়ার’-এর সন্ধান দিলেন আয়ুষ্মান, দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতায় ম্যানহোল থেকে পচা গলা দেহ উদ্ধার! ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য, আতঙ্কে এলাকাবাসী
স্ত্রীর প্রসবের সময়ে এ কী কাণ্ড? হাসপাতালেই মামাকে পিটিয়ে মারল যুবক, হাড়হিম ঘটনা এই শহরে
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সুমন মৈত্রর 'অ২', ছবিতে ঋত্বিক-যোগ প্রসঙ্গে কী জানালেন পরিচালক?
ভারত জিতলে জেমাইমার গিটারের সুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গান গাওয়ার আবদার জুড়লেন সানি
ছিলেন ক্রিকেটার, অধিনায়ক ও সাংসদ, এবার মন্ত্রীও হয়ে গেলেন আজহার
গর্ভাবস্থায় অ্যালকোহল সেবনের ফল মারাত্মক, পরিবর্তনে হতে পারে শিশুর মস্তিষ্কের রসায়নের
রণবীরের স্ত্রী হয়েও কাপুর পরিবারে একঘরে আলিয়া? এক পোস্টে তোলপাড় চারদিক, শুরু নয়া বিতর্ক
বাঙালিয়ানাকে দৃঢ়ভাবে হাতিয়ার করেই বদলাচ্ছে ‘হইচই’, ‘বোল্ডলি বাঙালি’-র উদ্যোগে সামিল কোন কোন তারকা?
সোনামণিকে 'স্পেশাল' তকমা দিলেন প্রতীকের মা! খুব তাড়াতাড়িই প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে জুটির?
‘কোচের একটা কথাই বদলে দিয়েছিল মানসিকতা’, অকপট হরমন
ধস নামালেন জস, মেয়েদের ইতিহাস গড়ার পরের দিনই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ল্যাজেগোবরে হল টিম ইন্ডিয়া
পাকিস্তানের পাশে চীন, সমস্যায় পড়তে পারে ভারত
ভারত–অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনালে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, জেমাইমাই গড়লেন একগুচ্ছ নজির
হ্যালোইনের ভূতে কলকাতা কাঁপে! বিদেশি হুল্লোড় শিশুমনের আলো না আঁধার?
এখনও কাপ পাননি সূর্যরা, এরই মধ্যে আরও একটি এশিয়া কাপ চলে এল
ভারতের কাছে হারের পরেই অবসরের ইঙ্গিত অজি অধিনায়কের
যে মেয়েটা বিয়ে না করে ফুটবলার হতে চায়, তার চোখে সন্ধ্যাতারা হয়ে ফুটুন জেমাইমা
‘ইন্ডাস্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজের স্বার্থের কথা ভাবলে চলে না’ বড়দিন থেকে নিজের ছবি পিছনো নিয়ে আর কী বললেন শিবপ্রসাদ?
সলমনের 'ভয়ে' কেন পিছু হটেছিলেন প্রভাস? এবার 'মঞ্জুলিকা' হবেন অনন্যা পাণ্ডে?
সপ্তাহান্তে ফের যানজটের আশঙ্কা, বন্ধ থাকছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু, নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুলিশের
৬ কিমি বেগে হাঁটতে হবে, তার নীচে হলেই গুনতে হবে জরিমানা, অদ্ভূত নিয়ম চালু করল ইউরোপের এই দেশ
দুটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে তিনটি পৃথিবী, সামনে এল অবাক করা আবিষ্কার