আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য মোবাইল ফোন ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামে। বুধবার বিকেলে মুন্সিপাড়া গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে রবিউল শাহ নামে বছর চোদ্দোর ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। 

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাতলামারি এলাকার বাসিন্দা আরিফ শেখ নামে বছর কুড়ির এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত যুবক নবম শ্রেণির ছাত্রকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। কী কারণে এই খুন পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবকের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে বহরমপুর আদালতে পেশ করা হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার বিকেল নাগাদ মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল গবাদিপশুর জন্য বাড়ির কাছেই  একটি কলা বাগান সংলগ্ন এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ সে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বিকেল নাগাদ রবিউলের প্রাণহীন দেহ ওই কলাবাগান থেকে উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ওই ছাত্রের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

ছাত্রের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় আরিফ শেখ নামে ওই যুবককে। 

মিলন শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‌নবম শ্রেণির ছাত্রকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরিফ শেখ নামে যে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে মাদকাসক্ত ছিল। নিয়মিত হেরোইন সহ অন্যান্য নেশা করত। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় একাধিকবার তার নাম জড়িয়েছে।’‌ 
তিনি বলেন, ‘‌আমরা জানতে পেরেছি রবিউল নামে ওই ছাত্র নিজের মোবাইল ফোন নিয়ে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। আরিফ ফোনটি দেখতে পেয়ে মাঠে গিয়ে ওই ছাত্রকে মোবাইল ফোনটি তাকে দিয়ে দিতে বলে। আরিফের উদ্দেশ্য ছিল মোবাইল ফোনটি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে নেশার জন্য মাদক কেনা।’‌ 

সূত্রের খবর, নবম শ্রেণির ওই ছাত্র মোবাইল ফোনটি দিতে অস্বীকার করলে আরিফ তাকে মারধর করে। এরপর যে হাঁসুয়া দিয়ে ওই ছাত্র ঘাস কাটছিল সেটি দিয়েই তার গলার নলি কেটে দেয়। রানীনগর থানার এক আধিকারিক জানান, যে অস্ত্রটি দিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রকে খুন করা হয়েছে সেটি উদ্ধার করা হয়েছে।